৪৮-৭২ ঘন্টায় ক্যাশ অন ডেলিভারি। ০১​৫​৮১১০০০০১​

মেসিয়াহ
মেসিয়াহ
412.50 ৳
550.00 ৳ (25% OFF)
Up Coming

ফ্যাসিবাদ

প্রতীতি প্রতিজ্ঞা প্রয়োগ

https://gronthik.com/web/image/product.template/2113/image_1920?unique=feb55d3

গত বিংশ শতাব্দীতে ইউরোপে ইতালির মুসোলিনি ও জার্মানির হিটলারের হাত ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটে। তথাপি সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে ফ্যাসিবাদ সম্পৃক্ত ছিল। দাস সমাজে দাস মালিকদের হাতে দাসরা, সামন্ত সমাজে সামন্তপ্রভুর হাতে প্রজারা এবং ধনতান্ত্রিক পুঁজিপতি বুর্জোয়া সমাজে পুঁজিপতিদের হাতে সর্বহারা শ্রমিকশ্রেণিসহ সাধারণ মানুষ নিপীড়িত- নির্যাতিত ও শোষিত হয়ে আসছে। আর এ সকলই একধরনের ফ্যাসিবাদী শাসনই বটে!

তবে ইতালিতে বিংশ শতাব্দীতে এসে এর নবতর সংযোজন ‘ফ্যাসিবাদ’ নামে উত্থান ঘটে। যার ধারাবাহিকতায় হিটলার তার দেশ জার্মানিতে এই তত্ত্ব আমদানি করে। মূলত সস্তা সেøাগান সর্বস্ব উগ্র জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে রাষ্ট্রের সুবিধাবঞ্চিত জনগণের ন্যায্য দাবিকে সামনে এনে জাতীয়তাবাদী প্রপঞ্চের উদার গণতন্ত্রের নামে এরা একধরনের ধূম্রজাল সৃষ্টি করে ক্ষমতায় আরোহণ করে। তবে তাদের মূল লক্ষ্য জনগণের স্বার্থরক্ষা নয়, বরং তাদের লক্ষ্য ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থ। আর সেভাবেই জণগণের ওপর চালায় ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার নিবর্তনমূলক নিপীড়ন-নির্যাতন।

ফ্যাসিবাদ হলো উগ্র জাতীয়তাবাদের চূড়ান্ত কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসনের অভিরূপ ব্যবস্থা। যা ঐন্দ্রজালিক গুরুবাদী নেতৃত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং তাদের মন্ত্র ও মিথ হলো- এক নেতা, এক দেশ, এক বিশ্ব ব্যবস্থা। ফলে স্তাবকের দল নেতাকে দেবতারূপে অপদেবতার প্রতিরূপ হিসেবে ভক্তির আসনে অধিষ্ঠান করে। এর ফলে একটি অশুভ সঙ্ঘবদ্ধ লুণ্ঠনকারীচক্র গড়ে ওঠে। যা কি-না বিষাক্ত ভিমরুলের চাকের মতো। ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থের বাইরে এদের অন্য কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই।

মনে রাখতে হবে- ফ্যাসিবাদের সবচেয়ে বড় বিরোধী শক্তি ও শত্রু হলো সমাজতন্ত্রীরা। কেননা, ফ্যাসিবাদ ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থ দেখে; অপরদিকে সমাজতন্ত্রীরা সর্বহারা শ্রেণির নেতৃত্বে সামাজিক মালিকানার রাষ্ট্র গঠন করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের জনগণের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করে।

বাংলাদেশে শেখ মুজিবের একদলীয় শাসন [১৯৭২-৭৫], এরশাদের সামরিক স্বৈরাচারী শাসনকাল [১৯৮২-১৯৯০] এবং সর্বশেষ শেখ হাসিনার দুই দফায় অবৈধ ক্ষমতায় থাকা [১৯৯৬-২০০২] এবং [২০০৯-২০২৪] বাংলাদেশে ভয়াবহ ত্রাসের ফ্যাসিবাদী শাসনেরই চূড়ান্ত রূপ।

দেড় হাজারের অধিক শহীদের বিনিময় ছত্রিশ জুলাই চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়ে দেশ এক নয়াদিগন্তের দ্বার উন্মোচন করে গণতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছে- যাকে স্বাগত জানানো জরুরি।

সম্পাদিত এই গ্রন্থে ফ্যাসিবাদের রূপরেখা এবং বাংলাদেশে বিগত ৫৩ বছরের বিভিন্ন সময়ে বীভৎস ফ্যাসিবাদের রূপচিত্র তুলে ধরার প্রয়াস মাত্র। আশা করা যায় বইটি পাঠকপ্রিয় হবে।

Writer

এম এন রায়

Publisher

গ্রন্থিক প্রকাশন

Language

বাংলা

Country

Bangladesh

Format

হার্ডব্যাক

Edition

1st

First Published

অমর একুশে বইমেলা ২০২৬

গত বিংশ শতাব্দীতে ইউরোপে ইতালির মুসোলিনি ও জার্মানির হিটলারের হাত ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটে। তথাপি সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে ফ্যাসিবাদ সম্পৃক্ত ছিল। দাস সমাজে দাস মালিকদের হাতে দাসরা, সামন্ত সমাজে সামন্তপ্রভুর হাতে প্রজারা এবং ধনতান্ত্রিক পুঁজিপতি বুর্জোয়া সমাজে পুঁজিপতিদের হাতে সর্বহারা শ্রমিকশ্রেণিসহ সাধারণ মানুষ নিপীড়িত- নির্যাতিত ও শোষিত হয়ে আসছে। আর এ সকলই একধরনের ফ্যাসিবাদী শাসনই বটে!

তবে ইতালিতে বিংশ শতাব্দীতে এসে এর নবতর সংযোজন ‘ফ্যাসিবাদ’ নামে উত্থান ঘটে। যার ধারাবাহিকতায় হিটলার তার দেশ জার্মানিতে এই তত্ত্ব আমদানি করে। মূলত সস্তা সেøাগান সর্বস্ব উগ্র জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে রাষ্ট্রের সুবিধাবঞ্চিত জনগণের ন্যায্য দাবিকে সামনে এনে জাতীয়তাবাদী প্রপঞ্চের উদার গণতন্ত্রের নামে এরা একধরনের ধূম্রজাল সৃষ্টি করে ক্ষমতায় আরোহণ করে। তবে তাদের মূল লক্ষ্য জনগণের স্বার্থরক্ষা নয়, বরং তাদের লক্ষ্য ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থ। আর সেভাবেই জণগণের ওপর চালায় ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার নিবর্তনমূলক নিপীড়ন-নির্যাতন।

ফ্যাসিবাদ হলো উগ্র জাতীয়তাবাদের চূড়ান্ত কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসনের অভিরূপ ব্যবস্থা। যা ঐন্দ্রজালিক গুরুবাদী নেতৃত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং তাদের মন্ত্র ও মিথ হলো- এক নেতা, এক দেশ, এক বিশ্ব ব্যবস্থা। ফলে স্তাবকের দল নেতাকে দেবতারূপে অপদেবতার প্রতিরূপ হিসেবে ভক্তির আসনে অধিষ্ঠান করে। এর ফলে একটি অশুভ সঙ্ঘবদ্ধ লুণ্ঠনকারীচক্র গড়ে ওঠে। যা কি-না বিষাক্ত ভিমরুলের চাকের মতো। ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থের বাইরে এদের অন্য কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই।

মনে রাখতে হবে- ফ্যাসিবাদের সবচেয়ে বড় বিরোধী শক্তি ও শত্রু হলো সমাজতন্ত্রীরা। কেননা, ফ্যাসিবাদ ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থ দেখে; অপরদিকে সমাজতন্ত্রীরা সর্বহারা শ্রেণির নেতৃত্বে সামাজিক মালিকানার রাষ্ট্র গঠন করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের জনগণের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করে।

বাংলাদেশে শেখ মুজিবের একদলীয় শাসন [১৯৭২-৭৫], এরশাদের সামরিক স্বৈরাচারী শাসনকাল [১৯৮২-১৯৯০] এবং সর্বশেষ শেখ হাসিনার দুই দফায় অবৈধ ক্ষমতায় থাকা [১৯৯৬-২০০২] এবং [২০০৯-২০২৪] বাংলাদেশে ভয়াবহ ত্রাসের ফ্যাসিবাদী শাসনেরই চূড়ান্ত রূপ।

দেড় হাজারের অধিক শহীদের বিনিময় ছত্রিশ জুলাই চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়ে দেশ এক নয়াদিগন্তের দ্বার উন্মোচন করে গণতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছে- যাকে স্বাগত জানানো জরুরি।

সম্পাদিত এই গ্রন্থে ফ্যাসিবাদের রূপরেখা এবং বাংলাদেশে বিগত ৫৩ বছরের বিভিন্ন সময়ে বীভৎস ফ্যাসিবাদের রূপচিত্র তুলে ধরার প্রয়াস মাত্র। আশা করা যায় বইটি পাঠকপ্রিয় হবে।

Writer

এম এন রায়

Publisher

গ্রন্থিক প্রকাশন

Language

বাংলা

Country

Bangladesh

Format

হার্ডব্যাক

Edition

1st

First Published

অমর একুশে বইমেলা ২০২৬

একই বিষয়ের অন্যান্য বই
জনপ্রিয় বই
রিসেন্ট ভিউ বই
Your Dynamic Snippet will be displayed here... This message is displayed because you did not provided both a filter and a template to use.
WhatsApp Icon